শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেছেন, জনগণের মাথাপিছু আয় ঠিকই আছে। বর্তমান বাজারের সঙ্গে মাথাপিছু আয়ের সংগতি রয়েছে। মানুষের আয় বাড়ছে। আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় এবারের ঈদে বেচাকেনা বেশি হয়েছে। মানুষ আনন্দ নিয়ে বাজার করেছেন। এখন গ্রামের মানুষের হাতে মুঠোফোন আছে, কেউ খালি পায়ে নেই। গ্রামে ধান কাটার মৌসুমে এক হাজার টাকা মজুরিতেও শ্রমিক পাওয়া যায় না।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক শেষে এভাবেই সাংবাদিকদের সামনে দেশের সাধারণ মানুষের আয় বৃদ্ধির বিষয়টি ব্যাখ্যা করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। এ সময় চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের মাথাপিছু আয় ও মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সাময়িক হিসাবের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়, চলতি অর্থবছরে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উঠবে, আর মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে বলে সাময়িকভাবে প্রাক্কলন করা হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাথাপিছু আয় সবার সমহারে বাড়ছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ‘সবার আয় বাড়ছে। যাঁর আয় আগে ১০০ টাকা ছিল, তাঁর আয় ১০৫ টাকা হয়েছে। তবে যাঁর ১ হাজার টাকা আয় ছিল, তাঁর অনেক বেশি আয় বেড়েছে।’ এতে বৈষম্য বেড়েছে—এমন প্রসঙ্গ তুলে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম বলেন, ‘উন্নয়নের এই পর্যায়ে বৈষম্য বাড়বেই। বৈষম্য সব সময় খারাপ না। যখন পুরো উন্নয়ন হয়ে যাবে, তখন বৈষম্য কমে যাবে।’
জিডিপিতে এত প্রবৃদ্ধি কীভাবে হলো জানতে চাইলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, এটা সবাই বলছেন। কেউ বলছেন ৭ দশমিক ১ শতাংশ, কেউ বলছেন ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। প্রবৃদ্ধি কমছে, এটা কেউ বলছেন না।
বর্তমানে মূল্যস্ফীতিকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। কারণ, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যমূল্য বাড়ছে। আবার পণ্য পরিবহনে জাহাজভাড়াও বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কিছুটা কমেছে। এখন রিজার্ভ ৪১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার।-
সূত্র: প্রথম আলো